ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা,সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ইউসুফ খান
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে শাহজাদাপুর এলাকার মানুষের একটি মাত্র স্বপ্ন ছিল —একটি ব্রিজ ও ভালো রাস্তা, যা বাস্তবায়িত হলে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ হাজার মানুষের চলাচলে স্বস্তি আসত।
অবশেষে ২০২১–২০২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ আসে, নির্মাণ কাজ শুরু হয়, কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই স্বপ্ন *ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় পরিণত হয়েছে।
যে ব্রিজটি স্বপ্ন ছিল, সেটিই এখন অনিয়মের নিদর্শন:*
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ নির্মাণে সিমেন্ট কম ব্যবহার করা হয়েছে, এবং কিউরিং না করেই ঢালাই শেষ করা হয়েছে, ফলে ঢালাইয়ের অংশ ফেঁটে গেছে ও পেটে ঢুকে গেছে। এখনো পুরোপুরি উদ্বোধন না হওয়া সত্ত্বেও ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।
*জনগণের ভাষ্যে যা উঠে এসেছে:
একজন এলাকাবাসী মোঃ আব্বাস আলী বলেন: “আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করেছি, কিন্তু এখন দেখি ব্রিজটা দাঁড়ানোর আগেই ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। এটা যদি স্বপ্ন পূরণ হয়, তবে সেটা ভাঙা স্বপ্ন।”*
অন্য একজন বলেন, “সরকার টাকা দিয়েছে, কিন্তু কাজ হয়েছে দুর্বল মালামালে। এটা তদন্ত হওয়া দরকার।”
অভিযোগের সারাংশ:
– ব্রিজ নির্মাণে সিমেন্ট, রড ও পাথরে অনিয়ম
– কিউরিং না করেই ঢালাই শেষ, ফলে ঢালাই দুর্বল
– কাজের নিরীক্ষা বা তদারকি ছিল না যথাযথভাবে
– ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা চোখে পড়ছে।
জনগণের দাবি:
– অবিলম্বে ব্রিজের গুণগত মান পরীক্ষা করে কারিগরি তদন্ত
– নির্মাণ কাজে দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা
– পুনঃনির্মাণ বা মেরামতের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা
– ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম না হয়, তার জন্য প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি
বহু বছরের স্বপ্ন যদি নিম্নমানের কাজে নষ্ট হয়ে যায়, তবে সেটি শুধু অর্থ নয় — মানুষের আস্থা, সময় ও জীবনের ক্ষয়। এখন সময়, প্রশ্ন তোলার — এবং জবাব চাওয়ার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ১৬০ মিটার রাস্তা আর সি সি ঢালাই করার কাজ চলছে। সি সি ঢালাই করে আজ পানি টানি না দিয়েই, কাল আবার তার উপর আর সি সি ঢালাই করে। ইটের শুরকি, পাথর, বালু নিম্নমানের। আমরা জনগণ বাঁধা দিলে তারা শুনেনা, কাজ পাইছেন ঠিকাদার খায়রুল, সে বিক্রি করে দেন লোকমান নামের এক ব্যক্তির কাছে। সে লোক ঢালাই কাজ ভাল করে নাই।